বুধবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসমান ক্রিস গেইলকে নিশ্চিত করেছে বরিশাল। এর আগেও বিপিএলে বরিশালেই খেলেছেন গেইল।
কুমার সাঙ্গাকারাকে নিশ্চিত করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। শহীদ আফ্রিদিকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট রয়্যালস। আফ্রিদি এর আগে খেলেছেন ঢাকার হয়ে।
এছাড়াও আফ্রিদির সতীর্থ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিককে নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা, চট্টগ্রামে খেলবেন তিলকারত্নে দিলশান। দিলশানের লঙ্কান সতীর্থ অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা খেলবেন রংপুর রাইডার্সে।
‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’-এর বাইরে ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার কারণ জানালেন বিপিএলের সদস্য সচিব।
“আমাদের টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এ সুযোগটা দিতেই হতো। আফ্রিদি, গেইল, মালিকের মত ক্রিকেটাররা ৭০ হাজার ডলারে আসতে চাইত না। এটা নিয়ে আমরা অনেকবার কথা বলেছি। সভা করে ঠিক করেছি। ৪-৫ জন ক্রিকেটারকে ৭০ হাজারের বেশিতে নিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টের স্বার্থে নিতেই হতো।”
বেঁধে দেওয়া অঙ্কের বাইরে বেশি পারিশ্রামিকে ক্রিকেটারদের দলে টানার সুযোগ কেন দেওয়া হলো, সংবাদ সম্মেলনে সেটারও ব্যাখ্যা দিলেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
“দেখুন, এই ক্রিকেটাররা আমাদের তালিকায় থাকলে ৭০ হাজারের বেশি পেত না। কিন্তু ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি যখন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবে, তখন তার দাম বাড়বেই! গেইলকে নিতে যেমন ৪টি ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেছে। সে তো বেশি চাইবেই।”
তবে ৭০ হাজার ডলারের বেশি অর্থের দায়িত্ব যে বিসিবি নেবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই বোর্ড পরিচালক।
“দলগুলি সরাসরি ক্রিকেটারদের নিলে ৭০ হাজার ডলারের বেশি কারও পারিশ্রামিকের দায়িত্ব আমরা নেব না। ধরুন, কোনো ক্রিকেটার ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারে রাজি হলো। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা এলে আমরা একটা ফর্ম ক্রিকেটারদের দিয়ে দেব। খেলার আগে এটায় সই করতে হবে ওদের যে ৭০ হাজার ডলারের বেশি যা থাকবে, সেটার দায়িত্ব বোর্ড নেবে না।”
গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব জানালেন, ৭০ হাজার ডলারের বেশিতে কারও সঙ্গে চুক্তির দায়িত্ব বোর্ড না নিলেও চুক্তিপত্র জমা দিতে হবে বোর্ডে।
“চুক্তির অঙ্ক অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। না হলে ট্যাক্স কিভাবে হবে। চুক্তিপত্র বোর্ডে জমা দিতে হবে। বোর্ড চাইলে অঙ্কটা সবাইকে জানাতেও পারে, নাও জানাতে পারে। তবে একটা কপি এনবিআরে পাঠাতে হবে। সবাই এমনিতেও জানবে।”
বেঁধে দেওয়া অর্থের চেয়ে বেশি দিয়ে কয়েকজন ক্রিকেটারদের আনলেও দলগুলির সামগ্রিক খরচ বাড়বে না, দাবি ইসমাইল হায়দার মল্লিকের।
“দলগুলির খরচ কোনোমতেই ৭ কোটি টাকার বেশি হবে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আমরা বলে দিয়েছি যে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৬ কোটি টাকা খরচ করতে। ৭০ হাজারের বেশি পাওয়ার মতো ক্রিকেটার প্রতি দলে হয়ত একজনই থাকবে। বাকি ক্রিকেটারদের তো ৭০, ৫০ হাজারে নেবে। কেউ যদি ৭০ হাজারের বেশিতে ৩ জন ক্রিকেটার নেয়, তাহলে সে অন্য প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে কম খরচ করবে।”
আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠবে বিপিএলের তৃতীয় আসরের। ফাইনাল ১৫ ডিসেম্বর।